ওয়েব ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখন দেশের আমলারাও সরকারি দলের নেতা। তারা প্রকাশ্যেই দেশ চালানোর কথা বলেন, রাজনীতিও করেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এই অবস্থা তৈরি করার জন্য দায়ী। তারা দেশের আইন, বিচার, শাসন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসহ সব খাত ধ্বংস করেছে।’
শুক্রবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর মধ্য দিয়ে সরকার সব সাংবাদিকদের শিক্ষা দিতে চায়, বোঝাতে চায় বেশি লাফালাফি করা যাবে না। এই দানব সরকারকে সরাতে হবে, দেশকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে।’
রোজিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (রোজিনা) সাহস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরেছেন। এ জন্যই রোজিনার প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের ক্ষোভ।’
বৃহস্পতিবার (২০ মে) রোজিনা ইসলামকে জামিন না দেয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জামিন দিতে দেরি করা হচ্ছে। এই বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে হবে? আওয়ামী লীগ সরকারের কালচারটাই হলো শুধু মামলা করা।’
এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর গ্রেফতারেরও।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানোর মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। যতোই বন্দী রাখা ও গুম হত্যার মাধ্যমে নির্যাতন করা হোক না কেন, এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমূখ বক্তৃতা করেন।